রাগীব আলীর অর্থ আত্মসাৎ মামলা স্থানান্তরের আবেদন খারিজ

সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীসিলেটে রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখল করে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা স্থানান্তর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বুধবার সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা স্থানান্তরের শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা তা খারিজ করে দেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্কের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। ওই দিন রাগীব আলীর পক্ষের আইনজীবীরা মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আবেদন করলে আজ  বুধবার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। 

মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে মামলা স্থানান্তর আবেদন খারিজ হওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ফ্রেবুয়ারি) যথারীতি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হবে। 

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে সরকারের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে পৃথক দুটো মামলা করেন সিলেটের কোতোয়ালি থানায়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে দীর্ঘদিন মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ একটি বেঞ্চ রায়ে মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে গত ২ ফেব্রুয়ারি তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় ছেলেসহ রাগীব আলীকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই আদালতে আত্মসাৎ মামলার মোট ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে ২৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য হবে।

একই আদালতে রাগীব আলী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলায় পলাতক অবস্থায় সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে প্রতারণার অভিযোগে আরেকটি মামলার অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

/বিটি/