আতিয়া মহলের পাশের ভবন থেকে ৬ জন উদ্ধার

উদ্ধার হওয়া ছয়জনসিলেটের দক্ষিণ সুরমার এলাকার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের পাশের একটি ভবন থেকে তিন শিশুসহ ছয়জনকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অভিযান শুরু তিনদিন পর সোমবার সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃতরা হলেন আসমা বেগম, সাহিনা বেগম ও আলী হোসেনসহ তিন শিশু। এর আগে শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে অভিযান শুরুর পর দুপুর নাগাদ আতিয়া মহলের ভেতর থেকে ৭৮ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়।

উদ্ধার হওয়া দুই নারী ও শিশুপ্রসঙ্গত, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় ‘আতিয়া মহল’ নামে পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে ২৩ মার্চ মধ্যরাতে খবর পায় পুলিশ। সেদিন রাত থেকেই বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। ২৪ মার্চ সকাল ৮টার দিকে আতিয়া মহলের ভেতর থেকে বাইরের দিকে গ্রেনেড ছোড়া হয়। ফলে ওই বাড়িতে অভিযান চালাতে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াতকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। আর অভিযানে নেতৃত্ব দিতে রাত ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।  তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। ২৫ মার্চ শনিবার ভোরে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে সোয়াত ও সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী। অভিযান শুরুর পর দুপুর নাগাদ ভবনের ভেতর থেকে ৭৮ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়।

অভিযান নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আতিয়া মহল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর প্রেস ব্রিফিং চলাকালে পাঠানপাড়া এলাকার জামে মসজিদের কাছে  দুদফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ অন্তত ৫০ জন। এরপর অভিযান চলাকালে রবিবার সন্ধ্যায় দুই জঙ্গি নিহত হয়। আজ সোমবার তৃতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে। থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

/বিএল/

আরও পড়ুন:
অপারেশন টোয়াইলাইট চলছে, থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ

আতিয়া মহলে কি শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুসা আছে?

‘হঠাৎ বিস্ফোরণ, কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি’

আতিয়া মহলে ২ জঙ্গি নিহত, অভিযান চলবে