চলতি বছরে জেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের আবাদ করা হয়েছিল। এপ্রিলের শুরুতেই অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর ধানি জমি তলিয়ে গেছে। তবে বেসরকারিভাবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ সব ফসল তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে তাদের গরু-বাছুর নিয়ে। চারদিকে পানির কারণে রাখালরা গুরু ছাড়তে পারছে না। অপরদিকে ধানের জমি পচে যাওয়ার ফলে গরু-বাছুর সেখানে গিয়ে ঘাস খেতে পারছে না। একদিকে ফসল হারানো ব্যথা অপরদিকে পশু পালন নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের কৃষক আবু নাছের বলেন, ‘গরুর খাদ্য সংকট থাকার কারণে বিপাকে পড়েছি। হাওরের জমির সঙ্গে সঙ্গে খড় পচন ধরায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এখন বাজারে টাকা দিয়েও গো-খাদ্য কিনতেও পাওয়া যাচ্ছে না।’
একই গ্রামের রহিম মিয়া জানান, গো-খাদ্যের অভাবে কৃষকরা গরু বিক্রি করে দিচ্ছে। অনেক কৃষকই ৫০ হাজার টাকার গরু ২০ হাজার টাকায় পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি আরও জানান,একদিকে ফসল নষ্ট অপরদিকে গরুর খাদ্যের অভাবে এবার কৃষকদের বেঁচে থাকা অনেকটাই দায় হয়ে পড়ছে।
লাখাই উপজেলার ভরপূর্ণি গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজ মিয়া জানান, খাদ্যের অভাবে কৃষকরা পানির দরে গরু বিক্রি করছে। গরুর যে পরিমাণ মূল্য পাওয়ার কথা সেই পরিমাণ মূল্য পাওয়া যায়নি। সবদিক হারিয়ে কৃষকরা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আলম বলেন, বন্যার কারণে কিছুদিন গো-খাদ্যের সংকট থাকবে।’
/এআর/