সিলেটে থানা হাজতে আসামির মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা

জৈন্তাপুরে হাজতে নজরুল ইসলাম বাবুর মৃত্যু
সিলেটের জৈন্তাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দাবি করছে, নারী নির্যাতন মামলার এই আসামি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশি হেফাজতে কিভাবে একজন আসামি আত্মহত্যা করতে পারে  প্রশ্ন নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিস্ময় তৈরি হয়েছে। আত্মহত্যার দৃশ্য থানার  সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৯ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আসামি নজরুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলার কহাইগড় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের (মৃত) ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ভোর রাত ৩টার দিকে শহরের বটেশ্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই সফিক ও এএসআই হুমায়ুনের নেতৃত্বে পুলিশ একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর ঘিলাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন ফাতেমার বিয়ে হয়। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর পারিবারিক বিরোধ দেখা দিলে নাসরিন ফাতেমা বাবার বাড়িতে চলে যান। সম্প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ এনে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা (গণমাধ্যম) জানান, ‘গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম বাবু নারী নির্যাতন মামলার আসামি। সে থানা হেফাজতে আত্মহত্যা করেছে। এখানে দায়িত্বরত পুলিশের কোনও গাফিলতি আছি কিনা সেবিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সিলেটের জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) সফিউল কবির গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম বাবুর ‘আত্মহত্যা’র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘যথা নিয়মে আসামিকে হাজতে রাখা হয়েছে। কিভাবে সে আত্মহত্যা করছে তার রেকর্ড সিসি ক্যমেরায় রয়েছে।’

/এফএস/   

আরও পড়ুন-
দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা: তদন্তে ফাঁক রাখতে চায় না পুলিশ