পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছিল ছয় রোহিঙ্গা

সুনামগঞ্জসুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পালিয়ে আসা ছয় রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ছয় রোহিঙ্গাসহ ১১ জনকে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের গোটিলা টিলা গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। এ সময় সনদগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার ভোরে তাদের টেকনাফে ফেরত পাঠানো হয়।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা হলো, মিয়ানমারের আকিদাবাদ জেলার মংডু থানার কুয়ান শিবং গ্রামের সাকির আহমদের ছেলে আবদুছ ছবুর, তার স্ত্রী আমিনা বেগম, ছেলে আবদুল হালিম, মেয়ে হালিমাতুস সাহিয়া, তালিহা আক্তার, উম্মা বেগম, আবদুল হালিমের স্ত্রী উম্মুল খাইরিন ও মেয়ে মোশারফা। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই  তপন কুমার দাস বলেন, তিন মাস আগে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের তুতা মিয়ার ছেলে আল আমিনের বাড়িতে তারা আশ্রয় নিয়েছিল।  

সুনামগঞ্জ সদর থানার সিনিয়র সহাকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, শুক্রবার ভোরে আটক রোহিঙ্গাদের টেকনাফে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের নাগরিক সনদপত্র দেওয়ার বিষয়ে বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়া হয়।’

আরও পড়ুন:

রোহিঙ্গা মা ভাবতেও পারছেন না, শিশুটি আর নেই