হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত শতাধিক

tetabiddhoহবিগঞ্জ শহরতলীর আলমপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১০ জন টেঁটাবিদ্ধসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করেছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় জেলার বানিয়াচং উপজেলার আলমপুর গ্রামের গ্রাম্য আধিপত্য ও টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে সেলিম মিয়া ও মুহিত মিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি বানিয়াচং থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ বিষয়টি এড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে সংঘর্ঘ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আলমপুর গ্রামে যান। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে রাত ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সদর হাসপাতাল থেকে ১২ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- হারুন মিয়া, মীর জালাল, তুহিন, সোহেল, জামাল মিয়া, মর্তুজ আলী, উজ্জ্বল মিয়া, আম্বর আলী, আবু তাহের, এবাদুর, নাইম, এরশাদ মিয়া, নোমান মিয়া, নাজমুল মিয়া, রিপন মিয়া, রনি, পিয়ারা ও আরও অনেকে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল বাহার জানান, সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সদর হাসপাতাল থেকে ১২ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।