‘কোনও তদবির, চাপ, অনুরোধে পুলিশে চাকরি হবে না’

সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে সুনামগঞ্জ পুলিশ বিভাগ। জেলার পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান বলেছেন, ‘শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবা পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরই চাকরি হবে। কোনও তদবির, চাপ, অনুরোধে পুলিশের চাকরি হবে না। যাদের যোগ্যতা ও মেধা রয়েছে তাদেরই পুলিশ বাহিনীতে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। যদি কোনও ব্যক্তি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পুলিশে চাকরি নেয় তাহলে সে দুর্নীতি করবে। আর এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতেই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চাকরি দেওয়া হবে।’

শনিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, সুনামগঞ্জ রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পীরসহ ডিআইও ওয়ান আনোয়ার হোসেন মৃধা, সদর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম, দিরাই থানার ওসি মোস্তাফা কামাল, জামালগঞ্জ থানার ওসি আতিকুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার এসময় বলেন, ‘১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমেই পুলিশের চাকরি হবে। এ বছর সুনামগঞ্জে মেধাভিত্তিক, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটা, উপজাতি কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় ২০০ পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাদের মনোবাসনা পূরণ হতে দেওয়া যাবে না। এজন্য সব গণমাধ্যমকর্মীর সহযোগিতার দরকার। পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়। রাতদিন কাজ করে  নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। এতে কোনও ফাঁক ফোকড় থাকে না। যদি কেউ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করেন বা কোনও পুলিশ সদস্যের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিটি থানায় মাইকিং ও পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।