প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে হত্যা: পিবিআই

পিবিআই কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংপ্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাজীপুর এলাকায় ২০১৭ সালের ২৪ জুন এ ঘটনা ঘটেছে। পিবিআই বলছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন ভাতিজা বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ হোসেনকে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের সার্কিট হাউস এলাকায় পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনায় প্রথমে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রতিবন্ধী আরিফের বাবা মো. আরবেশ আলী বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৬ জুন ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শ্রীমঙ্গল থানা ১৮ জন আসামির মধ্যে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহারের তিন জনের নাম বাদ দেওয়ার কারণে আদালতে পুনরায় না রাজি দাখিল করেন  মামলার বাদী। পরে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্তে নেমে পিবিআই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী মো. ইয়াকুত আলী ও মো. তোফায়েল আহমেদ ওরফে বল্লাদকে গত ১৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করে। পরে তারা আদালতে আরিফকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গল ভৈরবগঞ্জ বাজার থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সিএনজিও উদ্ধার করে পিবিআই।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে। আরও তথ্য উদ্ঘাটন সম্ভব।’

প্রেসবিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী ইন্সপেক্টর মো. শিবিরুল ইসলামসহ অনেকে।

২০১৭ সালের ২৪ জুন সন্ধ্যার একটু আগে হাজীপুর গ্রামে একটি যৌথ পুকুর নিয়ে পাশের বাড়ির প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৬-৭ জন আহত হন। সংঘর্ষ থেমে গেলে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একই বাড়ির প্রতিবন্ধী আরিফকে তার চাচা মো. ইয়াকুত মিয়া ঘর থেকে বের করে আনেন। উঠানে এনে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে আহত করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার আরও কয়েকজন সহযোগীর মাধ্যমে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর নামে রাস্তায় তাকে কুপিয়ে হত্যার পর  লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।