অনুসন্ধানে জানা গেছে,ট্রেন চালকের ঘুম ঘুম ভাব ছিল। ট্রেনের গতি খুব বেশি ছিল। ট্রেনের আন্ডারগিয়ার যাকে বলে পুলিং রড ভেঙে লাইনের পয়েন্ট অ্যান্ড ক্রসিংয়ের কয়েকটি ব্লক ভেঙে গেলে ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সবকটি বগি উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্ডারগিয়ার ভেঙে পড়ার কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাশশেরুল ইসলাম জানান, ‘ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেনটির কয়েকশ’ যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। ট্রেনটিতে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানও ছিলেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর পিএস মোবাইলে বিষয়টি জানান।’
এদিকে ১১টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।