বিধ্বস্ত বিমানে যাত্রীদের মধ্যে রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি ছিলেন বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
অধ্যক্ষ ডা. মো. আবেদ হোসেন জানান, ‘আমরা শুনেছি একজন নিহত হয়েছে। তবে সেটি এখনও কোনও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম জানা যায়নি। বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।’
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশের জন্য দুই মাসের মতো সময় লাগে। এই সময়ে সবাই নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। নেপালের শিক্ষার্থীরাও তাদের দেশে যাচ্ছিলো।’
মেডিক্যাল কলেজের একটি সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে একজন নিহত ও ছয় জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা। বাকিদের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এই মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মৈত্রেয়ী দেব বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন বলে শুনেছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ৫০ আরোহীর প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের সেনাসূত্র। ৯ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে তারা। নেপাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিল। বিমানের ৩২ আরোহী বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি।