সিলেটে জাফর ইকবাল

সিলেটে জাফর ইকবাল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেট পৌঁছেছেন। বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তাকে বহনকারী নভোএয়ারের একটি বিমান সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অধাপক জাফর ইকবালকে বরণ করে নিতে শাবিপ্রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দরে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন।

এদিকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত সহকারী জয়নাল আবেদীন জানান, অধ্যাপক জাফর ইকবাল একদিন সিলেটে অবস্থান করে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) আবার ঢাকায় ফিরে যাবেন।

গত ৩ মার্চ ছুরিকাহত হওয়ার পর ওই দিনই ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে  (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয় ড. জাফর ইকবালকে। আজ বুধবার তিনি সেখান থেকে রিলিজ পান। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শাম্মী বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানান। তিনি জানান, ড. জাফর ইকবাল এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে আগামী সাতদিন তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্যার এখন পুরোপুরি সুস্থ। তিনি বুধবার সকালের ফ্লাইটে সিলেটে যাবেন এবং এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন।’

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাফর ইকবালকে বরণ করা হবে বলে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রেজা সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সিলেট এয়ারপোর্টে ফুল দিয়ে বরণ করে আমরা তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসবো।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে আসার পরপরই অধ্যাপক জাফর ইকবাল সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কোয়ারটারের বাসায় যাবেন। পরে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে (হামলার স্থান) সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।’
ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক সুভ বলেন, ‘স্যারকে ফুল দিয়ে বরণ করাসহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সবাই আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্যারের কাছে চিঠি লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুক্তমঞ্চে একসঙ্গে সব চিঠিগুলো দেওয়া হতে পারে।’
অল্প পরিসরের মাধ্যমে স্যারকে বরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রিতেশ্বর তালুকদার বলেন, ‘সবাই আলাদাভাবেই স্যারের কাছে চিঠি লিখছে। এছাড়া স্যারকে নিয়ে আঁকা বিভিন্ন ছবিও দেওয়া হবে। মুক্তমঞ্চে স্যার সবার সঙ্গে কথা বলবেন এবং পরবর্তীতে নিজ বিভাগে আসবেন।’