সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বুড়ি ডাকুয়া জলমহালের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। এ কারণে সাচনা বাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ৩৬ মৎস্যজীবী পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
তবে ব্রাহ্মণগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হরলাল দাস অভিযোগ করেছেন, উপজেলা সার্ভেয়ার সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলেও তিনি জলমহালের সীমানা নির্ধারণ না করেই রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে জলমহালটি ইজারা দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
ব্রাহ্মণগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সহ সভাপতি সত্যজিত দাস জানান, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ২১টি জেলে পরিবার দীর্ঘদিন হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তারা জলমহালটি না পেলে কর্মহীন হয়ে পড়বেন।
রাঙ্গামাটিয়া শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী বলেন, ‘আমাদের সমিতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক না।’
জামালগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার চিন্তাহরণ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের তিন সদস্যের কমিটি জলমহালটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। ম্যাপের মাধ্যমে মাপজোক করা হয়েছে। এতে আমাদের কোনও অনিয়ম নেই।’
জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শেফাউল আলম বলেন, ‘জলমহাল ইজারার বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিস আবেনদকারীরা প্রকৃত জেলে কিনা তা যাচাইবাছাই করে। অপরদিকে সার্ভেয়ার জলমহালের দূরত্ব বিষয়ক দিকটি নির্ণয় করেন। এটি ২০ একরের নিচের একটি জলমহাল। আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করেছি। উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এটি কাউকে এখনও ইজারা দেওয়া হয়নি।’