নিহতরা হলো লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে কৃষক নুফুল মিয়া (৪৫), একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কৃষক আপন মিয়া (৩৫)ও বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা আগলা বাড়ি এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে মঈন উদ্দিন (১২)।
ওসি বলেন, ‘বিকালে নিহত দুই কৃষক বাড়ির পাশের হাওরে ধান তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে তারা গুরুতর আহত হন। পরে কর্মরত অন্য শ্রমিকেরা তাদেরকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সন্ধ্যায় বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা আগলা বাড়ি এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে মঈন উদ্দিন বাড়ির পাশে মাঠে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় বজ্রাঘাতে ধান কাটা দুই শ্রমিক মারা গেছেন। বাজিতপুর উপজেলার মাইজছর ইউনিয়েনরে কাটাবন এলাকায় আবদুর রশিদ (৩৫) মারা যান। তার বাবার নাম আবদুল মজিদ। বাড়ি নেত্রকোনার বারহাট্টায়। এছাড়া বাজিতপুরের বাহের বালি এলাকায় তৌহিদ মিয়া (২৭) মারা যান। তার বাবার নাম সামেদ মিয়া। তার বাড়ি বাজিতপুরে।
বাজিতপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিঠামইন থানার ওসি নাছির উদ্দিন ভূইয়া জানান, মিঠামইন উপজেলার ভুরভুরি গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রুপচান বেগমও বজ্রাঘাতে মারা যান। তিনি বাড়ির পাশে ফসলের ক্ষেতে কাজ করছিলেন।