অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টিলাগড় গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে হামিদ মিয়ার সঙ্গে দুই বছর আগে একই গ্রামের মন্নান মিয়ার কন্যা বাবলী আক্তারের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক নিয়ে নানা সময়ে হামিদ মিয়া ও তার মা হাসনা বেগম বাবলী আক্তারকে নির্যাতন করে আসছে।
নির্যাতিত বাবলীর মা রিমা বেগম বলেন, ‘যৌতুকের জন্য মেয়ের জামাই নানা সময়ে নির্যাতন করেছে। তাই মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে মেয়ের জামাইকে বিভিন্ন সময়ে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। এরপরও নির্যাতন থেমে থাকেনি। ঘটনার দিন হামিদ মিয়া ও তার মা হাসনা বেগম যৌতুকের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবলী আক্তারকে অকথ্য নির্যাতন চালায়। তাদের নির্যাতনে বাবলীর বাম চোখ, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মক জখম হয়।’
খবর পেয়ে রিমা বেগম আশপাশ এলাকার লোকদের সহায়তায় মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় রিমা বেগম বাদী হয়ে হামিদ মিয়াসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে গেল শুক্রবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করে হামিদ মিয়া বলেন, ‘আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু টাকা সংগ্রহ করে রাখি। এই টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির সময়ে পারিবারিক ঝগড়াঝাটি হয়। এ সময়ে বাবলী রাগাম্বিত হয়ে আমাকে মারতে চাইলে আমি বাধা দেই। তবে তাকে কোনও নির্যাতন করা হয়নি।’
কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।