পুলিশ জানায়, ভিক্ষা করিয়ে নেওয়ার জন্য ওই মহিলা শিশু দুটিকে চুরি করেছিল। বুধবার বিকালে কুলাউড়া রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে ওই মহিলার সঙ্গে শিশু দুটিকে দেখতে পান রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক রশিদুল ইসলাম। তার সন্দেহ হলে, ওই মহিলা ও শিশু দুটিকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় মহিলা পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সুরমা জানায়, ওই মহিলা তাদের বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে বিরলাপাড়া থেকে নিয়ে এসেছে। পরে তাদের মারধর করেছে। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে বলেও শিশু দুটিকে ভয়ভীতি দেখায় ওই মহিলা। পাঁচদিন আগে তাদের ট্রেনে করে কুলাউড়ায় আনা হয়। ভাই রাহাতকে আটকে রাখা হয়। আর সুরমাকে বলে ভিক্ষা করে এনে না দিলে রাহাতকে মেরে ফেলা হবে।
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. রশিদুল ইসলাম বলেন,“শিশু দুটিকে অমানবিক নির্যাতন করেছে ওই মহিলা। বুধবার বিকালে মহিলার কাছে শিশু দুটিকে দেখতে পেয়ে, আমার সন্দেহ হয়। আমি জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই মহিলা বলে, ‘শিশু দুটিকে আমি এখানে খুঁজে পেয়েছি।' একপর্যায়ে মহিলা পালিয়ে যায়। শিশু দুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। খাওয়া-দাওয়া ও গোসল করানোর জন্য পৌর শহরের জয়পাশা গ্রামের এক মহিলার কাছে রাখি। বৃহস্পতিবার শিশু দুটিকে তাদের মায়ের কাছে পৌছে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ‘শিশু দুটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা আপন ভাইবোন। তাদের আরও দুজন ভাইবোন আছে। বাবার নাম অহিদুল। তিনি মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন।