নিহত আবিদা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ, স্থানীয়রা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে। তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন, তিনি দ্বিতীয় মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজারে থাকেন। আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়েই বিবাহিত। তাদের মধ্যে আবিদা সুলতানা (৩৫) বড়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। তিনি স্বামী শরীফুল ইসলামের সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন। তার স্বামী ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।
আবিদার পৈতৃক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উপজেলার চরকোনা গ্রামের মনির আলীর ছেলে তানভির আহমদ থাকতেন।
নিহত আবিদার বোনের স্বামী মারুফ আহমদ বলেন, সকালে (২৬ মে) আবিদা আপা মৌলভীবাজারে যাওয়ার জন্য আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। দু’দিন আগে তিনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রবিবার সকালে সেখান থেকে তিনি বাবার বাড়িতে যান। এরপর থেকে তার কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরে আমার স্ত্রী খুঁজতে এখানে (মাধবগুলে) আসেন। এখানে ঘরে প্রবেশ করে একটি কক্ষ তালাবদ্ধ পান। পরে পুলিশ নিয়ে তালা ভেঙে আবিদা আপার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়াছিনুল হক বলেন, নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তানভিরের মা ও স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।