শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে সেপটিক ট্যাংক!

শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে সেপটিক ট্যাংকমৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে একাডেমিক ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক। অবিলম্বে সেপটিক ট্যাংক অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শহীদ মিনারটি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

জানা গেছে, দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় ১৮ বছর আগে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেন।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ স্কুলের চারতলা ভেতর একতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ঠিকাদার শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশের কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙে এ ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করেছেন। রোজার মাসের ছুটির সময় এটি নির্মাণ করায় বিষয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর নজরে আসেনি।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিক উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, শহীদ মিনারের একাংশ ভেঙে এভাবে সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করে ভাষা সৈনিকদের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অবমাননা করা হয়েছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তারা অবিলম্বে এ সেপটিক ট্যাংক অপসারণের দাবি জানান। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ‘ঠিকাদারের মিস্ত্রিরা শহীদ মিনার স্পর্শ না করেই সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করতে পারবে বলেছিল। পরে দেখা যায় তারা সিঁড়ি ভেঙে ফেলেছে।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে শহীদ মিনারটি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।’

মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের  উপ-সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ‘স্কুল কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী ঠিকাদারকে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ায় এখানে সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সবাই চাইলে শহীদ মিনারের কাছ থেকে এটি সরানো যেতে পারে।’