সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে ৫টি উপজেলা প্লাবিত

 

পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গত ৬ দিন ধরে অতিবৃষ্টি ও সীমান্তের ওপাড়  থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সদর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার সুরমা, যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, কংস, চলতি ও পিয়াইন নদী ও হাওর এলাকার পানি বাড়ছে। পানিতে ডুবে গেছে সীমান্ত এলাকার গ্রামীণ বাজার ও সড়কসহ নিচু এলাকার ঘরবাড়ি। নিচু এলাকার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ঢলের পানিতে ঢুকেছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া এ কথা জানান।

জেলার ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১১টি উপজেলায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ১২৬৫ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হবে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মজুদ আছে আরও ২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা।’

পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত

এদিকে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল ৯টায় ষোল ঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায়-১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, ‘সীমান্তের ওপাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে হাওর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব বিভাগের প্রস্তুতি রয়েছে।’