হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনের যাবজ্জীবন

যাবজ্জীবন

 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ভ্যানচালক তরিব উল্লা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আব্দুন নূর (৪০)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, হাবিবুর রহমান (৪৫), ইদ্রিছ মিয়া (৪৭) ও শাহানূর মিয়া (৪৩)। তাদের সবার বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে। রায় ঘোষণার পর আসামিদের সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানায় বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল রাতে মামলার এজহারভুক্ত আসামি আব্দুন নূর, হাবিবুর রহমান, ইদ্রিছ মিয়া, শাহানূর মিয়া, বজলুর রহমান ও তানজু মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিহতের স্বজন শফি উল্লাহর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে আসামিরা শফি উল্লাহকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় শফি উল্লাহকে বাঁচাতে তার চাচা তরিব উল্লা ও দেলোয়ার হোসেন  এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদের ধারালো চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তাদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওসমানী মেডিক্যালে যাওয়ার পথে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাউয়াবাজার এলাকায় তরিব উল্লাহ মৃত্যু হয়। পরে অন্যদের নিয়ে তারা আবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ফিরে আসেন। এঘটনায় মো.দেলোয়ার হোসেন নামে নিহতের এক স্বজন বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম জানান, বাদীপক্ষ মামলার রায়ে সন্তুষ্ট। তারা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আইনুল ইসলাম বাবলু জানান,এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন।তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। 

মামলা দায়েরের তিন বৎসর ৫ মাস ১ দিনের মধ্যে সাক্ষিদের সাক্ষ্য, উভয় পক্ষের শুনানি ও যুক্তির্তক শেষে আদালত এ রায় দেন।