১৬ দাবি পূরণে শাবি কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ১৬ দফা দাবি জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষকে ভিন্ন সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আগামী বুধবারের (৪ ডিসেম্বর) মধ্যে ৬ দফা দাবি এবং ২৬ মার্চের মধ্যে অন্য ১০টি দাবি মেনে নেওয়ার সময় দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ে দাবি পূরণ না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, পথচিত্র অঙ্কন, মিছিল সভা-সমাবেশ আয়োজনসহ সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা; আসন্ন সমাবর্তন উপলক্ষে হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারসহ সারা বছর হল খোলা রাখা; ছেলে ও মেয়েদের হলে প্রবেশের সময়সীমার বৈষম্য দূর করা; কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান উন্নত করা ও দাম কমানোসহ ক্যাম্পাসের টং দোকানগুলো শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন মতো খোলা রাখা। এছাড়া রাত ১০টা পর্যন্ত লাইব্রেরি, ক্লাসরুম ও সেমিনার কক্ষগুলো খোলা রাখা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান কেন্দ্রীক ভেন্যু বরাদ্দের ক্ষেত্রে অর্থ নেওয়া বাতিল করাসহ বরাদ্দের ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ বন্ধ করা। এসব দাবি ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মেনে নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে শতভাগ আবাসন সমস্যার সমাধান, মেডিক্যাল সেন্টারে ভালো মানের ওষুধ সরবরাহ ও সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত করা, পরীক্ষার খাতায় অনিয়ম এড়াতে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের পরিবর্তে কোডিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের আনুপাতিক হারে বাস সংখ্যা এবং বিভিন্ন রুট ও ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি, জিমনেশিয়ামের কার্যকারিতা ও সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।

এছাড়া লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশের সুবিধা, প্রথম ছাত্রীহলসহ অ্যাকাডেমিক ভবনের নামফলক ব্যবহার করা, ভবনগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, খেলার মাঠ সারাবছর ব্যবহার উপযোগী রাখা ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের মানোন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে শীতকালীন ছুটি পিছিয়ে ৫ থেকে ১৬ জানুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ছুটিতে ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ২০ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করলে অনুমতি না নেওয়ার অভিযোগে তাতে বাধা প্রদান করে প্রক্টরিয়াল বডি। এর প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর আবারও মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে টানা ছয় দিন ধরে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, গান, রোড পেইন্টিং করে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।