২০১৫ সালে রক্তি নদীর ওপর ৭২ মিটার দীর্ঘ ও ২৪ ফুট প্রস্তের সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হয়। কিন্তু সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ রোড না থাকায় বাঁশের চাটাই দিয়ে দুই পাশে আড় বেঁধে এসব এলাকার মানুষ অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে সেতু ব্যবহার করছেন।
দুর্লভপুর গ্রামের আবুল কালাম বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এলাকার মানুষ সেতু ব্যবহার করতে পারছেন না। বাঁশের চাটাইয়ের ওপর দিয়ে হেঁটে পার হন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন শতশত মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে সাচনা বাজারে আসা যাওয়া করেন।
নুরপুর গ্রামের গৃহিনী তাহমিনা খাতুন বলেন, ‘সাচনা বাজারে ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছেন। ছোট শিশু হেঁটে সেতুতে উঠতে ভয় পায় তাই কোলে নিয়ে সেতু পার করছেন। ’
রাধানগর গ্রামের তেরাব আলী বলেন, ‘রক্তি নদীর উত্তরপাড়ে ১৩টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সেতুর সড়ক না থাকায় ১৩ গ্রামের মানুষ সাচনা বাজারে প্রতিদিন কষ্ট করে যাতায়াত করছেন।’
ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রনিজত চৌধুরী রাজন বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলে ফতেহপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন সরাসরি সাচনা বাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে সড়ক পথে চলাচল করতে পারবেন।’