মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ এই তথ্য জানান। এসময় জানানো হয়, হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে জাকির। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের পুত্র।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে জাকির শিক্ষার্থী জেরিনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না জেরিন। পরে জেরিন বিষয়টি পরিবারের সদস্যদেরকেও জানায়। এরই প্রেক্ষিতে জাকির পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় জেরিনের বাড়ির সামনে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে রাখে। পরে জেরিন বাড়ি থেকে বের হয়েই সেই অটোরিকশায় ওঠে। রাস্তায় জাকির এবং তার সহযোগী হৃদয় নামে এক যুবক সিএনজিতে ওঠে। এরপর জেরিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। জেরিনকে অপরহরণ করে নিয়ে যেতে চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে জেরিনকে অটোরিকশা থেকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয় লোকজন জেরিনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।’
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মাসুক আলী বলেন, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে নিহত জেরিনের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় জাকির ছাড়াও আরও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে জাকিরকে আটক করে আদালতে জাবনবন্দি প্রদান শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে অটোরিকশা চালক নুর আলম এবং তার সহযোগী হৃদয়কে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম,হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।