হবিগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা: আত্মগোপনে চেয়ারম্যান, সহযোগী গ্রেফতার


চেয়ারম্যান হারুন ও সহযোগী খালেদহবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাতভর অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তার সহযোগী খালেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খালেদ ইউপি চেয়ারম্যান হারুনের মালিকানাধীন অরবিট হাসপাতালের ম্যানেজার।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ‘দৈনিক আমার সংবাদ’র নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান। এর নবীগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ চেয়ারম্যানের বাড়িতে এবং তার নিজ গ্রাম মিনাজপুরে অভিযান চালায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে আগেভাগেই চেয়ারম্যান হারুন পালিয়ে যায়। তবে তার সহযোগী খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, খালেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। মামলার পর থেকেই চেয়ারম্যান হারুন আত্মগোপনে রয়েছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ফৌজদারী অপরাধ করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আটক হলে  কিংবা চার্জশিট দাখিল করা হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাময়িকভাবে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
প্রসেঙ্গত, ত্রাণ নিয়ে চেয়ারম্যান হারুনের ব্যাপক অনিময় নিয়ে ৩০ মার্চ সংবাদ ও ফেসবুকে লাইভ করেন ‘দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ’র নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাহ সুলতান আহমেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ১ এপ্রিল বিকালে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ওই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরও দুই সাংবাদিককেও আহত করা হয়।