দ্বিতীয় দফায় সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্লাবিত নিম্নাঞ্চল


বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল নামতে শুরু করায় ফের বাড়তে শুরু করেছে সুনামগঞ্জের নদনদী ও হাওরের পানি। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি বাড়ায় দোয়ারাবাজার উপজেলা দোহালিয়া ইউনিয়নের জীবননগর গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার অন্যান্য নিম্নাঞ্চ লও পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

জেলার ১১টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৫৭টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য  খোলা ৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩৯টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলার ৮৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮১টি প্রথম দফায় বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঢল নেমেছে এছাড়া বৃষ্টি হওয়ায় নদনদীর পানি বাড়ছে।

নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে  প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুকনো খাবার, ঢেউটিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।