মোটরসাইকেলটি পুলিশের, বোমা কিনা তদন্তে আসছে সোয়াত

আলোাচিত মোটরসাইকেল সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে একটি পালসার মোটরসাইকেলকে ঘিরে ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। থানা পুলিশের পাশাপাশি ইতোমধ্যে ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি), র‌্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। মোটরসাইকেলটি সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর। এদিকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য সোয়াত টিমের একটি দল সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।

মোটরসাইকেলের পেছনের দিকে বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখার পর বুধবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টা থেকে চৌহাট্টা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ করা হয় চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত সব ধরণের যানবাহন চলাচল।

বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে সার্জেন্ট চয়ন নাইডু জানান, পালসার মডেলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নম্বর ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০। চৌহাট্টা এলাকা বুধবার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই সময় তার মোটরসাইকেল সঙ্গে ছিলো। সন্ধ্যার আগে তিনি চৌহাট্টা পয়েন্টে মোটরসাইকেল রেখে পার্শ্ববর্তী চশমার দোকানে যান। ৭-৮ মিনিটের মধ্যে চশমা ক্রয় করে বেরিয়ে এসে দেখেন লাল টেপ মোড়ানো একটি বোমা সদৃশ্য বস্তু তার মোটরসাইকেলের পেছনে (শাড়ি গার্ড) লাগানো। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করার পাশপাশি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চৌহাট্টা পয়েন্টে মোটরসাইকেল রেখে চশমা কিনতে যান। ফিরে এসে দেখেন তার মোটরসাইকেলের বোমা সদৃশ বস্তু রাখা।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার (গণমাধ্যম) বলেন, চৌহাট্টা পয়েন্টে রাখা মোটরসাইকেলকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। বোমা বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে মোটরসাইকেলে বোমা আছে কিনা।