সাংবাদিক সেলিমের ইন্তেকাল: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিমসিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক উত্তর-পূর্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিম আর নেই। রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

গত ৮ অক্টোবর থেকে সিলেট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আজিজ আহমদ সেলিম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। সোমবার (১৯ অক্টোবর) বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রা.) দরগাহ জামে মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে দরগাহ সংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহের দাফন সম্পন্ন হবে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সিলেট নগরীর মজুমদারী এলাকার বাসিন্দা তিনি। তার মৃত্যুতে সিলেটের গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের কর্মসূচি

বর্ষীয়ান সাংবাদিক সেলিমের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব। রবিবার রাতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— প্রথম দিন সোমবার (১৯ অক্টোবর) থেকে কালোব্যাজ ধারণ ও বাদ জোহর জানাজা পূর্বে মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন। পরদিন মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বাদ জোহর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল এবং বুধবার (২১ অক্টোবর) এতিমখানায় খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া আজিজ আহমদ সেলিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানীয় দৈনিকগুলোতে এক কলাম দুই ইঞ্চি শোকব্যাজ ছাপাতে ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্পাদকসহ দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘আজিজ আহমদ সেলিম ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী। তিনি ছিলেন সবার অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে সিলেটের জনগণ একজন দক্ষ সাংবাদিককে হারালো।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

সিসিক মেয়রের শোক

এক শোক বার্তায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আজিজ আহমদ সেলিম ছিলেন সিলেটের সাংবাদিক অঙ্গনের অভিভাবকস্বরূপ। সিলেটের বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সঙ্গেও সম্পৃক্ততা ছিল তার। এই নগরীর উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে তার পরামর্শ ও উপদেশ পেয়েছি; যা কখনও ভুলবার নয়। ফলে সেলিম ভাইয়ের মৃত্যুতে আমিও একজন অভিভাবক হারালাম।’ তিনি বলেন, ‘সিলেটের সাংবাদিকতার উন্নয়নে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে গেছেন। সৎ ও আদর্শবান সাংবাদিকতার প্রতিরূপ হয়ে তিনি দীর্ঘদিন আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’