নিখোঁজের ৪ দিন পর গর্তে মিললো ব্যবসায়ীর লাশ

গ্রেফতার হওয়া ৬ আসামি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় নিখোঁজের ৪ দিন পর ব্যবসায়ী আব্দুল মনাফের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত মনাফ কুলাউড়া শহরের ‘মিলি প্লাজা’র মনাফ টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের মিরশংকর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে মনাফের বাড়ির পাশে টয়লেটের পাশ থেকে গর্ত খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় সন্দেহভাজন মনাফের চাচাত ভাইসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

তারা হলেন-মনাফের চাচাতো ভাই শাহিনুর রহমান শাহিন (৪০), আতিকুর রহমান চান মিয়া (৫০), খালাতো ভাই শামসুদ্দিন (৪২), জাহাঙ্গীর আলম (২৩), ফজলু মিয়া (৪৫) ও ফজলুর মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ (২২)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ব্যবহৃত টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে মনাফের আইডি কার্ড, সিম ও মানিব্যাগসহ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে চাচাতো ভাইয়ের দেওয়া তথ্যমতে রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি টয়লেটের পাশ থেকে মনাফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতদের বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে ব্যবসায়ী মনাফ নিখোঁজ হন। পরে রাতে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার বাড়ির সম্মুখে কিছু রক্তের আলামত পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাতেই কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায়ের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মনাফের কোনও হদিস না পাওয়ায় রবিবার মনাফের ভাই আজির উদ্দিন কুলাউড়া থানায় একটি জিডি করেন।

কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এ মামলায় ৭ জন আসামি। এরমেধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজন পলাতক। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।