পুলিশের ভ্যানচাপায় অটোরিকশাচালক নিহত

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলায় হাইওয়ে পুলিশের ভ্যানচাপায় তোফায়েল মিয়া (২২) নামে অটোরিকশার এক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় সিএনজি শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ চলাকালে ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে বাহুবল উপজেলার বাগান বাড়ি পয়েন্টে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত অটোরিকশা চালক তোফায়েল মিয়া হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন অটোরিকশার যাত্রী বাহুবল উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র আজগর আলী (৬০) ও একই গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী মাসুদা আক্তার (৩৫) এবং হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী মুসলিম উদ্দিন (৪০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তোফায়েল মিয়া যাত্রীসহ সিএনজি অটোরিকশা (হবি-থ-১১-৭৪৪৮) নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে বাহুবল বাজারের দিকে আসছিলেন। পথে বাহুবল উপজেলা সদর সংলগ্ন বাগান বাড়ি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশের ব্যারিকেড দ্রুতগতিতে অতিক্রম করেন। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের একটি দল পুলিশ ভ্যান নিয়ে সিএনজিটিকে ধাওয়া দেয়। পরে কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশভ্যান ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুছড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক তোফায়েল নিহত হয়।

ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেন। মহাসড়ক অবরোধের কারণে সড়কের দুইপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। দুপুর দেড়টার পর বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তোলে নেয়।

এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।’ বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।