ঈদের চতুর্থ দিনেও বসেছে পশুর হাট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার আরোপিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের জনতার বাজারে বসেছে ঈদ পরবর্তী পশুর হাট। কিন্তু খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে হাটটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য জনতার বাজার পশুর হাটটি বন্ধ করে দেয়।

জানা গেছে, জনতার বাজার পশুর হাট ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষা নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। জেলার সর্ববৃহৎ এ পশুর হাটটি প্রতি শনি ও সোমবার বসে।

আজ ঈদ পরবর্তী এ হাটে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে পশু কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শুরু চলছিল হাটটি। বিকালে উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এএসএম শিহাবুজ্জামান শিহাব সহকারে একদল সেনা সদস্য জনতার বাজারে গিয়ে মাইকিং করে দ্রুত বাজার বন্ধ করার ও পশু নিয়ে বাজার ত্যাগ করার জন্য আহ্বান জানান। প্রশাসনের ঘোষণার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতারা ত্যাগ করলে হাটটি ফাঁকা হয়ে যায়।

নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘লকডাউন অমান্য করে জনতার বাজার পশুর হাট বসে। খবর পেয়ে বাজারে গিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন বলেন, ‘সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। বিগত কয়েকদিন ধরে পশুর হাট না বসানোর জন্য বাজার কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছিল। কিন্তু অতিউৎসাহি কিছু গরুর ব্যবসায়ী বাজারে পশু নিয়ে আসেন এবং বাজার বসায়। এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে বাজার বন্ধ করা হয়েছে।’