কিশোর গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ  

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৮ বছরের এক শিশু ও ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পৃথক এলাকায় এই ধর্ষণের দুটি ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ পৃথক এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতনের শিকার শিশু ও কিশোরীকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে।

৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিশুর মায়ের করা মামলায় পুলিশ এক কিশোরকে (১৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার কিশোর উপজেলার কলারতলিপার গ্রামের বাসিন্দা।

অন্যদিকে ১৪ বছরের এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরীর মা গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত শাহান আহমদকে (২৬) আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। শাহান উপজেলার পেনাগুল গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে।

থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপরে ৮ বছরের ওই শিশু বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। এসময় অভিযুক্ত কিশোর তাকে ডেকে বাড়ির পাশে নির্জনস্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়িতে এসে বিষয়টি তার মাকে জানালে তারা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় শিশুর মা কিশোরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার পরই শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত কিশোর ওই শিশুর চাচার ঘরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো।

এদিকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অভিযুক্ত শাহান আহমদ কৌশলে কিশোরীকে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরীর মা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরদিন শুক্রবার ওই কিশোরীর মা অভিযুক্ত শাহান আহমদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, এক শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই দুটি ঘটনায় তাদের পরিবার থানায় মামলা করেছে। এর মধ্যে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার পরই পুলিশ এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। শিশু ও কিশোরীকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।