ছেলে হত্যা মামলায় আপস না করায় বাবাকেও হত্যার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতকে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছেলেকে হত্যার ছয় বছরের মাথায় এবার প্রতিপক্ষের হাতে খুন হলেন বাবাও। ছেলে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আপস না করায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

জানা যায়, ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাতির আলীর সঙ্গে জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের। গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্থানীয় ইছামতি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাতির আলীকে (৬০) সিরাজ ও তার লোকজন লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় প্রতিপক্ষ বাতির আলীর দুটি পা ও হাত ভেঙে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহতের মেজো ছেলে লাল মিয়া জানান, সিরাজের লোকজন ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর সকালে তার ছোট ভাই হেলাল উদ্দিনকে (১৫) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে সে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ওই দিন সন্ধ্যায় মারা যায়।

এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিনের বাবা বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে ছাতক থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলা আপস না করায় বাতির আলীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্ত ও দাফন শেষে মামলা করা হবে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, মারধরের পর বাতির আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মারা গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ সিলেট ওসমানী হাসাপাতালের মর্গে আছে। এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।