হেলিকপ্টারে বসে বন্যাকবলিত এলাকা দেখলেন মন্ত্রী

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (২৭ জন) সকালে হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।

বেলা ১১টায় মন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সড়কপথে সিলেট সার্কিট হাউজে যান মন্ত্রী। দুপুরে এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে সরকার। এজন্য সরকারের প্রতিটি দফতর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ তদারকি ও নির্দেশনায় সিলেটে বিনা চিকিৎসায় একজনও মারা যায়নি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।’

মন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কাজ বেশি করবেন তাহলে কেউ সমালোচনা করতে পারবে না। কাজ কম করলে সমালোচনা বেশি হবে। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, সেভাবেই প্রতিটি দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারবো।’ 

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত মানুষদের খাবার, চিকিৎসা ও আশ্রয় দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে। বন্যার পরে রোগ দেখা দেবে, সেজন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেত্রকোনা থেকে শুরু করে সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলাসহ অধিকাংশ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি হেলিকপ্টার চড়ে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, সকাল ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। প্রথমে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি দেখেন মন্ত্রী। সেখান থেকে সিলেট পরিদর্শন করেন।