এসএসসির শেষ পরীক্ষা দেওয়া হলো না ফাহাদের

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ফাহাদ রহমান (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের অদূরে রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহাদ রহমান শ্রীমঙ্গলের পশ্চিম ভাড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা হাজী ফজলুর রহমান ফজলুর বড় ছেলে। শাহ মোস্তফা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আজ তার ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন ফাহাদ। ভোরে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের অদূরে রেল লাইনের পাশে তাকে পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাহাদকে উদ্ধার করেন। দ্রুত শ্রীমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু তাহের জানান, জনি আলম নামে এক ব্যক্তি ৯৯৯-এ কল করে খবর দেন। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ফাহাদকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

জনি আলম জানান, লোকাল ট্রেন সুরমা মেইল শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের পথে শাহীবাগ এলাকা ক্রসের পর একজনের চিৎকার শোনেন তিনি। এরপর দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুমূর্ষু অবস্থায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করেন।

শাহীবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. শহীদ খান ও ছুনু মিয়া জানান, সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে একজনের চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন, রেল লাইনের পাশে ফাহাদ আহতাবস্থায় পড়ে আছেন।

লোকাল সুরমা মেইল ট্রেনের চালক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি আখাউড়া থেকে ট্রেনটি চালিয়ে সিলেটের পথে রয়েছেন। এ পথে তার ট্রেনের ধাক্কা বা কাটা পড়ে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। এমনকি রেল লাইনের পাশে কেউ আহতাবস্থায় পড়ে রয়েছে এমন কিছুও তিনি দেখেননি।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাফিউল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।