চিকিৎসার জন্য এসে ধর্ষণের শিকার, কারাগারে চিকিৎসক

সিলেটে চিকিৎসার জন্য এসে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান রামেন্দ্র কুমার সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে ওই চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন কলেজছাত্রী। 
রামেন্দ্র কুমার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান। 

রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে নগরীর কাজলশাহ ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে কলেজছাত্রীর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘বিয়ের কথা বলে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন ওই চিকিৎসক। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন কলেজছাত্রী।’
 
মামলার এজাহারে কলেজছাত্রী উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সাল থেকে ওই চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন কলেজছাত্রী।

এ বিষয়ে ছাত্রী বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ওই চিকিৎসক।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানসিক সমস্যায় ভোগা সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ওই ছাত্রী চিকিৎসার জন্য রামেন্দ্র কুমার সিংহের কাছে যান। সেই সূত্রে বিয়ের কথা বলে তাকে ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক।