নতুন শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা: বিমান প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আমরা নতুন শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বে প্রত্যেকটি শিল্প কারখানা তাদের শিল্পের পণ্য, বাজার ব্যবস্থা ও ব্যবসায়ে পরিবর্তন এনেছে। তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এসব শিল্প বিপ্লব হচ্ছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ভৌতবিজ্ঞান অনুষদের তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানের অপার উন্নয়নে গত শতাব্দীতে খুব দ্রুত বিশ্বের পরিবর্তন ঘটেছে—যা পরিবহন, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মুহূর্তে আমরা বিজ্ঞানের সাফল্য উপভোগ করছি। প্রযুক্তির কল্যাণে উন্নয়নশীল মানব সভ্যতা গড়ে ওঠছে, নতুন রূপে পৃথিবীর যাত্রা শুরু হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হতে বিভিন্ন দেশ নতুন নতুন উদ্ভাবন ব্যবহার করছে।

তিনি আরও বলেন, ভৌতবিজ্ঞান মৌলিক বিজ্ঞান। এ বিজ্ঞানে গণিতবিদ ও পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জোতির্বিদ মেঘনাদ সাহাসহ আরও অনেকে এশিয়া থেকে অবদান রেখেছে। আমাদের দেশের অনেক ভৌতবিজ্ঞানী তাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করছেন এবং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সম্মেলনে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।IMG_20221022_215016_350

সম্মেলনের সামগ্রিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন—সম্মেলনের আহ্বায়ক ও ভৌত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের সদস্য সচিব ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন দফতরের প্রধানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌতবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে ২২৯টি পেপার উপস্থাপিত হয়। এ সম্মেলনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানিসহ বাংলাদেশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলনের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেস্ট প্রেজেন্টার ঘোষণা করা হয়।