ইয়াবা দিয়ে কলেজছাত্রকে ফাঁসানোর চেষ্টা, ৩ কনস্টেবল বরখাস্ত

সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের তিন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্ত হওয়া তিন কনস্টেবল হলেন—মো. ঝুনু হোসেন জয়, ইমরান মিয়া ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তারা এসএমপির পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস জানান, পুলিশ লাইনসের এডিসির তদন্তে তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ইয়াবা দিয়ে কলেজছাত্রকে ফাঁসানোর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সদরদফতরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদ ওই তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তার ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮) গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরোনো মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন সাইফুর রহমান আসাদ প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। 

খবর পেয়ে শাহপরাণ থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর পরই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।