হাওরে ৯৫ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘হাওরে ৯৫ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ডেটলাইন দিয়ে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। হাওরের স্থায়ী বাঁধ বা নদীখননের প্রকল্প খুব ব্যয়বহুল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। হাওরের টেকসই কাজে তড়িঘড়ি করা যাবে না।’ 

বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে এ সব কথা বলেন মন্ত্রী।  

তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মন্দার বাইরে নয়। মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই, চলছে। এ জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ভবিষ্যতে হাওরের উন্নয়নের জন্য ভালো প্রকল্প নেওয়া হবে। শিগগির হাওর এলাকার ১৯টি নদী খননের প্রকল্প নেওয়া হবে। সে জন্য কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বাঁধ নিয়ে এত কথা হবে না।’  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-  সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

পরে প্রতিমন্ত্রী দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।  

চলতি বছর এক হাজার ৭২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।