বিয়ের দুই মাসের মাথায় লাশ হয়ে ফিরলেন পপি

বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় পপি বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত পপির থুতনির নিচে ৩টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। তিনি কোতোয়ালি থানাধীন শেখঘাট এলাকায় স্বামী মিঠুন মিয়ার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পপিকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বামী মিঠুন ও ভাশুর সুহেল মিয়াসহ তিন জন।

আটককৃতরা হলেন মৌলভীবাজারের জগন্নাথপুরের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে মিঠুন মিয়া ও তার ভাই সুহেল মিয়া।

জানা যায়, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন পপির মা-বাবাসহ স্বজনরা। এ সময় পপির ভাশুর সুহেল ও স্বামী মিঠুনকে ধরে পুলিশে দেন স্বজনরা।

পপির পিতা আলফু মিয়া জানান, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে হয় পপির। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো মিঠুন। নির্যাতন থেকে বাঁচতে সে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সোমবার তাকে বুঝিয়ে মিঠুন তার বাসায় নিয়ে যায়। পরিকল্পিতভাবে রাতেই সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। এক ভাই ও দুই বোন মধ্যে পপি ছিল সবার ছোট।’

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি পরিকল্পিত। পপির ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।