৪ শ্রমিক নেতাকে আটকের অভিযোগে সড়ক অবরোধ, মুচলেকায় মুক্তি

সিলেটে পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের চার নেতাকে আটকের অভিযোগে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিলে অবরোধ তুলে নেন জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয় র‌্যাব। এরপর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে বিকালে ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ আহমদ, সদস্য জমির আহমেদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার আরও দুই নেতাকে আটক করে র‌্যাব। সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়। প্রতিবাদে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। সেইসঙ্গে শ্রমিক নেতাদের নির্দেশে নগরীর টিলাগড়, মেজরটিলা, সিলেট-তামাবিল সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান। তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও নেতাদের শান্ত করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে গেছেন। অবরোধে আটকা পড়েছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও।

জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি দিলু মিয়া বলেন, ‘কোনও অভিযোগ ছাড়াই আমাদের চার শ্রমিক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অপরাধ কী, কিংবা কেন ধরে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি আমাদের। আমরা জেলার প্রতিটি থানা অবরোধের নির্দেশ দেওয়ার পর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। রাতে আটককৃত নেতাদের মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দিয়েছে র‌্যাব। এরপর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’ 

শ্রমিক নেতাদের আটকের কারণ জানতে চাইলে র‌্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমান সোহেল বলেন, ‘পরিবহন সমিতির নামে যত্রতত্র টাকা আদায় করায় তাদের আটক করা হয়েছিল। তারা টাকা আদায় সম্পর্কিত কোনও নথি দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে বৈঠকে সমিতির নেতৃবৃন্দ কথা দিয়েছেন, ভবিষ্যতে নিয়ম মেনে নির্ধারিত জায়গায় সমিতির চাঁদা আদায় করা হবে। এই সম্পর্কিত সব নথি যথাযথভাবে হালনাগাদ করা থাকবে। এরই প্রেক্ষিতে আটককৃতদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’