শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক নোটে ২৫ দফা নির্দেশনা পাঠান। ওই নোটে তিনি বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেন। অন্যান্য অনেকগুলো বিষয়ের মধ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রীদের দাবি এবং আন্দোলনের বিষয়েও তিনি বক্তব্য দিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রীদের দাবি এবং আন্দোলনের বিষয়ে ওই নোটে মন্ত্রী বলেছেন, ‘গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহশিক্ষা চালু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউটের দাবিতে দু’চারজন ছাত্রী আন্দোলনের চেষ্টা ও সমস্যা সৃষ্টিতে তৎপর হচ্ছে। ফলে শিক্ষকদের পরিস্থিতি ও সার্বিক অবস্থা বিষয়ে করণীয় কী তা ঠিক করতে হবে।
এদিকে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের আন্দোলনকারী কয়েকজন ছাত্রী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার কলেজটির তিন ছাত্রী শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি কী ও কেন তা আলোচনা করতে গেলেও মন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া পাননি বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, কো-এডুকেশন অর্থাৎ সহশিক্ষার দাবিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর আন্দোলনে নামে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রীরা। তাদের দাবি, তাদেরকে যা পড়ানো হয়, একজন ছাত্রেরও তা পড়া উচিত। এ উচ্চশিক্ষায় লিঙ্গবৈষম্য হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে মন্ত্রণালয়ে একই সভায় এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষায় যেসব কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভালো ফল করতে পারেনি এবং যেসব প্রতিষ্টানে মোট আসনের ২৫ শতাংশ বা অর্ধেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, তাদের এমপিও বাতিল করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই নোটে শিক্ষা আইন, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল, ইউজিসি আইন, মাধ্যমিক শিক্ষার মানউন্নয়নে গৃহিত ব্যবস্থা নিয়েও উল্লেখ করা হয়।
/আরএআর/এইচকে/
পড়ুন: বেসরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোকে ঢাবির ইনস্টিটিউট করার দাবি