স্কুল, কলেজ এবং ক্লাবের জন্য ক্রীড়া সামগ্রী পাবেন যেভাবে

ক্রিকেট বলসরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও ক্লাবের জন্য সরকারিভাবে ক্রীড়া সামগ্রী যেমন- ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল, ভলিবল, দাবা, ক্যারাম বোর্ড ইত্যাদি দেওয়া হয়। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এসব সামগ্রী অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়। এটি হয়তো অনেকেরই জানা। কিন্তু এসব ক্রীড়া সামগ্রী কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে পাওয়া যাবে, তা জানেন না অনেকেই।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এসব ক্রীড়া সামগ্রী কিভাবে পাবেন? এমন প্রশ্ন অনেকেরই। অনেকেই এর জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা, স্থানীয় সংসদ সদস্যের দফতর, জেলা প্রশাসকের দফতর (ডিসি অফিস), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর (ইউএনও অফিস)সহ বিভিন্ন স্থানে ধর্না দেন। এক দফতর থেকে আরেক দফতরে ঘুরাঘুরি করেন ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা জেলা বা উপজেলার পাড়া মহল্লায় গড়ে ওঠা ক্লাবের (সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত বা নিবন্ধন না পাওয়া) জন্য ক্রীড়া সামগ্রী পেতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বরাবরে একটি আবেদন করতে হবে। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সেটি করতে হবে প্রতিমন্ত্রীর বরাবরে।  আবেদনটি হতে হবে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে। আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করবেন স্কুলের ক্ষেত্রে  প্রধান শিক্ষক। কলেজের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ। আর ক্লাবের ক্ষেত্রে ক্লাবের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক। সরাসরি বা ডাকযোগে জমা দিতে হবে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দফতরে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রটি সরাসরি দেওয়াই উত্তম। কারণ, ডাকযোগে মন্ত্রীর দফতরে অনেক আবেদন আসে। এগুলোর মধ্যে হয়তো আপনার আবেদনপত্রটি হারিয়েও যেতে পারে। আবেদনপত্রটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের (এমপি) সুপারিশ বাধ্যতামূলক নয়। তবে থাকলে ভালো হয়।

আবেদনপত্রটি পেয়ে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সেটিকে অনুমোদন দিয়ে পাঠাবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা ক্রীড়া পরিদফতরে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী ইচ্ছা করলে আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কি কি উপকরণ দেবেন, তা নির্ধারণও করে দিতে পারেন। সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবেদনপত্রটি যাচাই বাছাই করবেন যে আবেদনটি সঠিক আছে কিনা। যাচাইয়ের কাজটি  কিছুটা সময়সাপেক্ষ বিধায় আবেদনপত্রে স্থানীয় এমপি’র সুপারিশ থাকলে সুবিধা হয়। যাচাই করতে সময় কম লাগে। ক্রীড়া সামগ্রী পেতে সহজ হয়।  

এ ক্ষেত্রে এমপিকে পাওয়া না গেলেও জেলা প্রশাসকের সুপারিশও নেওয়া যেতে পারে। কারণ, জেলা প্রশাসকই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন । তাকেও যদি পাওয়া কস্টকর হয়, তাহলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশ সম্বলিত আবেদন পাঠানোই ভালো বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যাচাই বাছাই শেষে ক্রীড়া সামগ্রী মজুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কি কি সামগ্রী দেবেন, তার একটি বরাদ্দ তৈরি করবেন। এরপর তা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে তারিখ, দিনক্ষণ জানাবেন। তারিখ ও সময় মতো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা ক্রীড়া পরিদফতরে (যেখান থেকে ক্রীড়া সামগ্রী বরাদ্দ পাবেন) উপস্থিত হয়ে মালামাল গ্রহণ করবেন।

/এসআই/ এপিএইচ/