জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফল প্রকাশের পর আংশিক ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে গত ২৪ নভেম্বর তা সংশোধন করা হয়। ফল নতুন করে প্রকাশ করার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফলাফল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রকাশিত ফলাফলে কিছু পরীক্ষার্থীর ফল ভুল আসায় কর্তৃপক্ষের নজরে আসা মাত্রই তা সংশোধন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ত্রুটি সংশোধনের পর ১ লাখ ২৩ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার পরীক্ষার্থীর ফলাফলে কিছুটা ভিন্নতা আসে এবং পাঁচ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর সিজিপিএ বৃদ্ধি পায়। সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কখনও ভুলত্রুটি হওয়া অস্বাভাবিক নয় এবং তা দৃষ্টিতে আসা মাত্রই সংশোধন করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বলে মনে করে।
ফলাফলে ত্রুটি ও পরবর্তীতে তা সংশোধনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তিন জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে এবং বিষয়টি কিভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলরের (একাডেমিক) নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, চার বছরের জায়গায় ৬ বছর লেগেছে অনার্স পাশ করতে। অবার এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে আমরা কেন মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেবো? এ নিয়ে ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য বেশ কিছু কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথম প্রকাশিত ফলাফল পূনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধনও করেছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশের দু’মাস পর গত ২১ নভেম্বর ‘চুপিসারে’ সেই ফলাফল পাল্টে ফেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফল পরিবর্তন হয়েছে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ২২ নভেম্বর থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করছেন। বাংলা ট্রিবিউনে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরই বিকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দুঃখ প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেয়।
- সাঁওতালদের উচ্ছেদ ঘটনায় এবার ডিসিকে আইনি নোটিশ
- প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ফুয়েল প্রেসার কমে গিয়েছিল
/আরএআর/এমও/