প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য: কমিটি গঠনের নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির সুপারিশ বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে, বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে একথা জানান মন্ত্রী।
ব্ঠৈকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কমিটি বেতন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সুপারিশ করবে। ওই সুপারিশ উপস্থাপন করা হবে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। এরপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
জানা গেছে, অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে সমান গ্রেডের অন্যদের বেতন বেশি দাঁড়ায়। কারণ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পর্যাদায় এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সরকারি শিক্ষকদের ১৪ এবং ১৫ নম্বরে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। পরে এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করে বেতন নির্ধারণের সুযোগ নেই বলে জানানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। এ মতামতের পর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নতুন ভাবে বেতন নির্ধারণ বন্ধ হয়ে যায় প্রধান শিক্ষকদের।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘ওই সময় শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণে কোন ব্যাখ্যা ছিল না অর্থ মন্ত্রণালয়ের। ওই উন্নীত বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার তারিখের পূর্ব পর্যন্ত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড যোগ করে নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়। এতে অনেক সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন চলে যায় প্রধান শিক্ষকের ওপরে।’

/এসআই/এমও/