৩৮তম বিসিএস: আবেদন সমস্যার সমাধানে হেল্পলাইন খুলছে পিএসসি

PSc৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে হেল্পলাইন খুলছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এখানকার কর্মকর্তারাই এর সমাধান দেবেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১০ জুলাই থেকে শেষ হবে ১০ আগস্ট।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সার্কুলারে সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। তারপরও প্রার্থীরা অনেক সময় বুঝতে না পেরে সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় অভিযোগ আসে, তারা আবেদন করতে পারছেন না। এ ধরনের যে কোনও অভিযোগ নিতে এবং সমাধান দিতে হেল্পলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
ড. মোহাম্মদ সাদিক আরও বলেন, ‘টেলিটকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। হেল্পলাইনের জন্য তারা পাঁচটি নম্বর দেবেন। আবেদনের দিন থেকে পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন পর্যন্ত এই হেল্পলাইন খোলা থাকবে।’
এদিকে প্রভাষক পদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে আবেদনকারীদের অভিযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত আবেদনে তিনটি বিষয়ের নাম ও কোড উল্লেখ রয়েছে। অথচ এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ওইসব বিষয়ের প্রার্থীরা প্রভাষক পদে আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পিএসসি চেয়ারম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘না বুঝেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কখন কোন বিষয় চালু হয়, তার সর্বশেষ তথ্য আমাদের কাছে অনেক সময় আসে না। তবুও চেষ্টা করি কোনও মিসিং যেন না হয়। এছাড়া কেউ যেন আবেদন থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য একটি (৯৯৯) কোড দিয়েই রেখেছি। যাতে তারাও আবেদনটি করতে পারে। বিজ্ঞপ্তিটা ভালো করে পড়লেই বোঝা যাবে, এতে সবই পরিষ্কার করে বলা হয়েছে।’

এদিকে এবার ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছে পিএসসি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— প্রার্থীর অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে, পরীক্ষার খাতা দেখবেন দুই পরীক্ষক, এমনকি বাংলা ও ইংরেজি দুটি সংস্করণেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের।

বাংলা অথবা ইংরেজি সংস্করণে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদন করার সময়ই অনলাইনে উল্লেখ করে দিতে হবে কোন সংস্করণে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক। কারণ যে প্রার্থী যে সংস্করণে পরীক্ষা দেবে, তার জন্য কেবল সেই সংস্করণের প্রশ্নই বরাদ্দ রাখা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে সংস্করণ পরিবর্তনের কোনও সুযোগ থাকবে না।’

/আরএআর/জেএইচ/