এ সময় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল। পানি ও কলা খাওয়ানোর আগে ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আশরাফকে আশ্বস্ত করেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যেন হয় সেজন্য আমরাও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। আশা করি, এবার কাঙ্ক্ষিত ডাকসু নির্বাচন হবে। সব ধরনের প্রস্তুতি শিগগিরই শুরু করবো আমরা। নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর অনশন শুরু করেন ওয়ালিদ আশরাফ। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনে (ভিসি চত্বর) একাই অনশনে নেমে পড়েন তিনি।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো সংহতি জানায় এই অনশনে। তার এ আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ওয়ালিদের অনশনরত স্থানে স্মৃতি চিরন্তনে কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশনসহ ডাকসুর দাবিতে স্লোগান মিছিলও করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষাথীরা সমর্থন দেন।
ডাকসুর নির্বাচন দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে ওয়ালিদ আশরাফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডাকসু আমাদের অধিকার। ডাকসু নির্বাচন কোনও দাবি হতে পারে না, এটা স্বাভাবিক নিয়মেই হওয়ার কথা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব।’
এছাড়া ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন। ওইদিন ডাকসুর সাবেক সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকদেরও থাকার কথা রয়েছে।