শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে যুগোপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই।’ এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে সেবার মনোভাব নিয়ে শিক্ষায় অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সব ধরনের ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের জন্যও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিআইইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আব্দুল্লাহ জাফরী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদত হুসাইন।