এবারও এমসিকিউ থাকছে জেএসসিতে

 

জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এ বছরও নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন পদ্ধতি থাকছে। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে আগামী বছর থেকে নম্বর ও বিষয় কমানো হবে। রবিবার (২৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) বৈঠক শেষে  সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এই তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে সচিব বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর বেশি চাপ পড়ছে। তাই চাপ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আপাতত কিছু বিষয় কমানো যায় কিনা, সেটা ভাবা হচ্ছে। কমালে এ বছর থেকেই তা বাস্তবায়ন করবো।’ সিলেবাসের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘এমন হতে পারে যে, সিলেবাসের পুরোটাই থাকবে কিন্তু এক বছর এক অংশ থাকবে, পরের বছর অন্য অংশ।’

বছরের মধ্যবর্তী সময়ে পরিবর্তন করার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আমরা চাই এমন সিদ্ধান্ত, যেন কোনও শিক্ষার্থী বা অভিভাবককে কোনও দুশ্চিন্তা করার কিছু থাকবে না।’ চাপ কমাতে কারিকুলাম ও সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হবে বলেও জানান সচিব।

উল্লেখ্য, জেএসসি-জেডিসিতে বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। গত ২০ মে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা সভায় সাতটি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেন।

জেএসসি-জেডিসিতে এ বছর এমসিকিউ থাকছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এ বছর সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত পরিবর্তন আসেনি। আমি সবসময় এমসিকিউ-এর বিপক্ষে। এমসিকিউ অত্যন্ত উন্নতমানের একটা পদ্ধতি। কিন্তু আমরা সেই পর্যায়ে এখনও পৌঁছাইনি। শুধু এমসিকিউ নয়, পরীক্ষার মানেই হচ্ছে সারা বছর যা পড়া হলো, সেটি একা একাই পরীক্ষার খাতায় লিখবে। সেখানে কোনও ধরনের তথাকথিত সহযোগিতা কারও কাছে নিতে পারবে না। কিন্তু আমরা সে রকম পারি না, বিশেষ করে আমরা এমসিকিউ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ পাই, কেউ বলে দিচ্ছেন, কেউ কনট্রাক্ট নিচ্ছেন, এ ধরনের বিষয় আছে। এমসিকিউর জন্য মরিয়া হয়ে মানুষ অনেক কিছু করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে পরীক্ষা কাউকে সঠিক মূল্যায়নে করতে সহযোগিতা করে না, সে পরীক্ষা থাকার কোনও যুক্তি নেই। আমি মনে করি, এমসিকিউ না থাকলে যে স্তর থেকে শুরু হচ্ছে, সেখান থেকে শুরু করতে হবে।’