কর্মসূচিগুলো হলো- বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ। আগামী ২৩ জুলাই কলা ভবনের সামনের বটতলায় নিপীড়নবিরোধী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষক সমিতির কাছে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অবিলম্বে পত্র পাঠানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতা রক্ষা, অ্যাকাডেমিক মান সমুন্নত রাখা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চ্যান্সেলরের কাছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের উদ্যোগে স্মারকলিপি প্রদান।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে সামিনা লুৎফা বলেন, ‘কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হামলার পরেই কেবল আমরা স্বাধীন চিন্তার নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকরা এই আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহের দিকে মনোযোগী হয়েছি। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের মারধর ও ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের ছাত্রলীগ ন্যক্কারজনকভাবে লাঞ্ছিত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম একটি পরিস্থিতিতে সেই সমাবেশস্থলে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ বাহিনীর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনার অনেক পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান, তাও শিক্ষকরা ডাকার পর। প্রক্টর গণমাধ্যমে এই ঘটনার জন্য শিক্ষকদেরই দায়ী করেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে আমরা অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটলেও শিক্ষক সমিতি এখনও কোনও বক্তব্য দেয়নি, আমাদের কোনও খোঁজ-খবর নেয়নি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী শিক্ষক রুশাদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মান্নান, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মুরাসির কামাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান।