‘শিক্ষার্থীরা বই পড়ে না, নোটের ওপর নির্ভরশীল’

ফল প্রকাশের পর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাএবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) ফলাফল ঘোষণার পর এই তথ্য জানা যায়। শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বই বাদ দিয়ে নোটের ওপর বেশি নির্ভরশীল বেশি হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম।

আইডিয়াল কলেজ থেকে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১৫৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ১৪৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬২ জন যা গতবারের তুলনায় কম। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৮৪ জন।

অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবারের পাসের হার ৯৮.৯৬ শতাংশ যা গতবার ছিল ৯৯.২৪ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৮৪ জন, এবার পাস করতে পারেনি ১২ জন।’

পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম আরও বলেন, ‘এবার পরীক্ষার্থী গতবারের থেকে কম ছিল। এবার কোনও প্রশ্ন আউট হয়নি। যাদের প্রস্তুতি ঠিক ছিলনা, তারাই খারাপ করেছে। তাছাড়া বাংলা, আইসিটিসহ অনেক বিষয়েই অনেকে জিপিএ-৫ পায়নি। কোনও কোনও প্রশ্ন কঠিন ছিল। আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকরকম প্যানিক ছিল। শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই ভালো করে পড়তে হবে এর কোনও বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীরা বই পড়ে না, নোটের ওপর নির্ভরশীল বেশি।

এদিকে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, এবার ফলাফল নিয়ে অনেকেরই মন খারাপ। তবে জিপিএ- ৫ প্রাপ্তদের উৎফুল্ল দেখা যায়।

জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রী মাশা আনোয়ার মিম বলেন, বিশ্বাস হচ্ছে না জিপিএ-৫ পেয়েছি। প্রশ্ন এবার খুব কঠিন ছিল। বিশেষ করে পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, রসায়ন এবং গণিত। তারপরও এরকম ফলাফল দেখে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।

অভিভাবক হাফিজা বেগম বলেন, প্রশ্ন এবার কঠিন ছিল। মেয়ে চেষ্টা করেছে ভালো রেজাল্ট করেছে। এতে আমি খুশি।