রাজধানীর সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন করা হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীরাজধানীর সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তিনি জানান, এজন্য ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য শহরগুলোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও দৃষ্টিনন্দন করা হবে। বুধবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অ্যাডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র কার্যনির্বাহী পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন হবে। এজন্য আমরা ১৪ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট করেছি। অন্য যেকোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা রয়েছে। প্রকল্পটি এখনও একনেকে যায়নি। এটার মধ্যে আরও ব্যয় কমানো যায় কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। স্কুলের রাস্তাসহ উন্নয়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। পর্যাক্রমে দেশের অন্য শহরগুলোতেও দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হবে।’

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে ৩৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০টি বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৫১টি বিদ্যালয় ইতোমধ্যে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জমি অন্যরা দখল করছে এমন ঘটনা রয়েছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী। সেসব বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখার কথা জানান মন্ত্রী।

সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোনও অনিয়ম হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) থেকে আমাদের স্ট্যান্ডার্ড কোনও অংশেই কম নয়। বুয়েট প্রশ্ন করে, পরীক্ষা নেয়, রেজাল্টও তারা দেয়। শুধু ২০ নম্বরের ভাইভা নেন ডিসিরা (জেলা প্রশাসক)।

প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে শরীরচর্চা এবং চারু ও কারুকলার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নয়নে কাজ চলছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অধীনে থাকা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ছেড়ে দিলে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। প্রাথমিক স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন নামে সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর আনুষ্ঠানিকভাবে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত না হলেও ৭০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি খোলা হয়েছে।’

অ্যাডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিয়নকালে বর্তমান সরকারের সময় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন মন্ত্রী। সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিনিধিরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।